, , No Comments

ন্যান্সিকে দেখতে হাসপাতালে বিএনপি- জাসাস নেতারা

Logoআপডেট:
রবিবার, ১৭ আগস্ট, ২০১৪




1

এবি প্রতিবেদক
ল্যাবএইড
স্পেশালাইজড হাসপাতালে সংগীতশিল্পী নাজমুন মুনিরা ন্যান্সিকে দেখতে গেলেন
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ঢাকা মহানগর কমিটির আহ্বায়ক মির্জা আব্বাস।
রবিবার বিকালে মির্জা আব্বাস হাসপাতালে যান বলে জানিয়েছে তার ব্যক্তিগত
সহকারী সোহেল।



তিনি জানান, মহানগর আহ্বায়ক এ সময় হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন এক
বন্ধুকেও দেখতে যান। তিনি সেখানে বেশ কিছু সময় অবস্থান করেন এবং চিকিৎসকদের
কাছে ন্যান্সির সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা ও তার চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন।






এদিকে কণ্ঠশিল্পী ন্যান্সিকে দেখতে ল্যাবএইড হাসপাতালে যান বিএনপি ও
বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা জাসাস
নেতারা।



বিএনপির সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক চলচ্চিত্রকার ও গীতিকার গাজী মাজহারুল
আনোয়ারের নেতৃত্বে এ সময় তার সাথে অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন জাসাসের সিনিয়র
সহ-সভাপতি চলচ্চিত্র নায়ক আশরাফুজ্জামান সালাহউদ্দিন শিশির, রোকনুজ্জামান ও
খালেদ এনাম মুন্না।






উন্নত চিকিৎসার জন্য শিল্পী ন্যান্সিকে এর আগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ
(ঢামেক) হাসপাতাল থেকে রাজধানীর ধানমন্ডি ল্যাবএইড হাসপাতালে স্থানান্তর
করা হয়। হাসপাতালের কো-অর্ডিনেটর ডা. আলী আবরার ন্যান্সির অবস্থা
আশঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন।



উল্লেখ্য, ন্যান্সি নেত্রকোণা শহরের ছোটগাড়া এলাকায় তার নিজবাড়িতে
শনিবার বিকেলে ৪০টি ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন এই গায়িকা। এর
পর অসুস্থ অবস্থায় তাকে প্রথমে নেত্রকোণার একটি ক্লিনিকে এবং পরে ময়মনসিংহ
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।






এর পর চিকিৎসকদের পরামর্শে রাত ১টার দিকে তাকে আনা হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ
(ঢামেক) হাসপাতালে। পরে রবিবার সকালে ন্যান্সিকে ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি
করা হয়।
তবে এ বিষয়ে ন্যান্সির স্বামী নাজিমুজ্জামান জায়েদের মুঠোফোন
বন্ধ থাকায় কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তার নিকটাত্মীয় সূত্রে জানা গেছে,
২০১২ সালে প্রথম স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ, মায়ের মৃত্যু, রাজনৈতিক বিতর্কিত
পরিস্থিতি, পেশাগত ভাবে বঞ্চিত হওয়া, বাবা পূণরায় বিয়ে করা এবং বর্তমান
স্বামীর সঙ্গেও তার বনিবনা না হওয়াই ছিল মূল কারণ।






প্রায় দশ দিন আগে ঢাকা থেকে ন্যান্সি চলে যান নেত্রকোনায় বাবা নাঈমুল
হকের কাছে। সূত্র জানায়, গেল প্রায় এক সপ্তাহ ধরেই ন্যান্সির মুঠোফোন বন্ধ
ছিল। ধারণা করা হচ্ছে গেল পাঁচদিন ধরেই ন্যান্সি নিয়মিত ঘুমের বড়ি সেবন করে
আসছেন হতাশা নিবারণ কিংবা আত্মহননের চেষ্টা চালায়।

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন