, , No Comments

নাটকপাড়া হয়ে উঠেছে যাত্রাময়

Logoআপডেট: বৃহস্পতিবার, ২৭ আগস্ট, ২০১৫
এবি প্রতিবেদক
যাত্রাশিল্প উন্নয়ন নীতিমালা-২০১২ বাস্তবায়ন ও যাত্রাদল নিবন্ধনের লক্ষ্যে ২৫-২৯ আগস্ট-২০১৫ আয়োজন করা হয়েছে পাঁচ দিনব্যাপী নিবন্ধন কার্যক্রম।

‘৭ম যাত্রানুষ্ঠান-২০১৫’ শিরোনামে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর আয়োজনে নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের ব্যবস্থাপনায় জাতীয় নাট্যশালার স্টুডিও থিয়েটার হলে বর্ণাঢ্য আনুষ্ঠানিকতায় চলছে আয়োজনটি।

২৫ আগস্ট থেকে ২৯ আগস্ট প্রতিদিন বিকেল ৩টা হতে রাত ৯টা পর্যন্ত ২৫টি যাত্রাদলের যাত্রাপালা মঞ্চায়নের জন্য সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। যাত্রাশিল্প উন্নয়ন কমিটির ৩জন সম্মানিত সদস্য উপস্থিত থেকে অংশগ্রহনকৃত যাত্রাপালার উপস্থাপনা পর্যালোচনার ভিত্তিতে নিবন্ধন উপযুক্ত যাত্রাদলগুলোকে নিবন্ধন প্রদান করছেন। নিবন্ধ আনুষ্ঠনিকতাকে ঘিরে যেমনি যাত্রাঙ্গনে বিরাজ করছে সুবাতাস তেমনি যাত্রার সংলাপঝংকারে শিল্পকলার নাটকপাড়া হয়ে উঠেছে যাত্রাময়।

এবারের আসরে অংশগ্রহনকারী দলগুলোর মধ্যে দিনাজপুরের সততা যাত্রা ইউনিট ২৫ আগস্ট বিকেল ৩টায় উদ্বোধনী মঞ্চে পরিবেশন করে সাইফুল ইসলাম টিয়া পরিচালিত ‘শশী বাবুর সংসার’। জামালপুরের দি নিউ সাথী অপেরা দ্বিতীয় পরিবেশনায় নিয়ে আসে আলী আজগর নির্মিত যাত্রাপালা ‘গুনাই বিবি’। এরপরই সিলেটের সুরমা অপেরা পরিবেশন করে এস.এম মল্লিকের ‘আলোমতি প্রেম কুমার’। চুয়াডাঙ্গার যাত্রাসংগঠন অঞ্জলী যাত্রা ইউনিট দর্শক মাতায় মিন্টু সরোয়ারের পালা ‘মায়ের চোখে জল’ দিয়ে। এ দিনের শেষ প্রযোজনা ছিল খুলনার আরতি অপেরার পরিবেশনায় বিকাশ মন্ডল নির্দেশিত পালা ‘চরিত্রহীন’। উৎসব আমেজে বুধবারও একই সময়ে চলে নিবন্ধন কার্যক্রম। দিনের প্রথম পালা মঞ্চায়ন করে সাভারের সাগরিকা অপেরা। ‘কলঙ্কিনী বধূ’ নামের এই পালাটি পরিচালনা করেন জীবন সরকার। ঢাকার দল রুপসী বাংলা যাত্রা ইউনিট পরিবেশন করে বাদল ভুইয়া নির্মিত যাত্রাপালা ‘সাগর ভাসা’। এরপরই খুলনার সূর্য মহল মঞ্চে আনে এম এন রহিম নির্মিত ‘চরিত্রহীন’। মেহেরপুরের সীমান্ত অপেরা নিবন্ধনীপ্রয়াসে প্রদর্শন করে আক্কাস আলী পরিচালিত ‘গরীবের মেয়ে’। রবীন কুমারের ‘নিহত গোলাপ’ নিয়ে যশোর পারুল  অপেরা মঞ্চে আসে দিনের পরিবেশনায়।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর রজনীগন্ধা অপেরা প্রদর্শন করবে আব্দুল রশিদ পরিচালিত পালা ‘গুনাই বিবি’। এরপরই থাকাবে দিলীপ কুমার ভট্টাচার্যের পালা ‘মায়ের চোখে জল’।

নাটোরের নিউ বাসন্তী শিল্পী গোষ্ঠীর এই পালা শেষে পরিবেশিত হবে এম রহমান পরিচালিত নাটোরের নাচমহল অপেরার ‘জেল থেকে বলছি’। খুলনার আদি রংমহল অপেরা এস. এম. ফারুকের ‘ডাইনী বধূ’ প্রদর্শন করবে দিনের সমাপ্তিপালা হিসেবে। যথারীতি আগামীকাল শুক্রবার বিকেল তিনটায় মিরপুরের দল স্বাধীন বাংলা নাট্যগোষ্ঠী দেখাবে ‘বেদের মেয়ে মহুয়া’, দিনের দ্বিতীয় পরিবেশনায় কুষ্টিয়ার নবপ্রভাত অপেরা পরিবেশন করবে ‘চরিত্রহীন’। এরপরই নেত্রকথন নাট্যসংঘ দেখাবে ‘বাঙালীর দায়মুক্তি’। ‘ভয়ংকর-৭১’ নিয়ে বিচারকদের মুখোমুখি হবে যশোরের ডিজিটাল অপেরা। এরপরই রাজধানীর আকাংখ্যা লোকনাট্য গোষ্ঠী দেখাবে যাত্রাপালা ‘অনুসন্ধান’।

২৯ আগস্ট শনিবার ৭ম যাত্রানুষ্ঠানের সমাপনী দিনে পরিবেশনা শুরু করবে গাইবান্ধার দল চলো বাংলাদেশ। দলটির পালা ‘মায়ের চোখে জল’ মঞ্চায়নের পরই খুলনার আখিঁ অপেরা পরিবেশন করবে ‘টপ রংবাজ’। সিরাজগঞ্জের ভাই ভাই যাত্রাঅপেরা দেখাবে ‘পাতালপুরীর রাজকন্যা’, খুলনার দল পূঁজা অপেরা ‘চরিত্রহীন’ করে মঞ্চ ছাড়বে মানিকগঞ্জের চারণিক নাট্য গোষ্ঠীর ‘একটি পয়সা’ জন্য, জোৎ¯œা বিশ্বাসের পরিচালনায় খুলনার ভাগ্যশ্রী অপেরার পালা ‘স্বামীর চিতা জ্বলছে’ মঞ্চায়নের মধ্যদিয়ে শেষ হবে এবারের আয়োজন।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী ইতোমধ্যে ৬টি পর্যায়ে ৭৩টি যাত্রাদলকে নিবন্ধন প্রদান করেছে। বরাবরের মতো এবারের আসরেও অংশগ্রহণকারী সকল যাত্রাপালাগুলি দর্শকদের জন্য রয়েছে উন্মক্ত।


0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন