, , No Comments
Add caption


একই দিনে নানি-নাতনির জন্মদিন!

Logoআপডেট: সোমবার, ১৭ আগস্ট, ২০১৫
এবি প্রতিবেদক
ঢালিউডের ষাট ও সত্তর দশকের জনপ্রিয় নায়িকা শবনমের জন্মদিন আজ (সোমবার)।

১৯৪০ সালের ১৭ আগস্ট তৎকালিন পূর্বপাকিস্তানের ঢাকাস্থ মদন মোহন বসাক লেনে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। মজার বিষয় হল- আজ শবনমের নাতনি আরনাজেরও জন্মদিন। আরনাজ শবনমের স্বামী রবিন ঘোষের ছোট বোনের মেয়ের কন্যা। শবনম বলেন, এখন বয়স হয়েছে। নিজের জন্মদিন বিশেষভাবে উদ্যাপনের সুযোগ নেই। একমাত্র সন্তান রনি ও স্বামীর সঙ্গেই সময় কেটে যায়। তবে আমার নাতনি আরনাজের আবদার থাকে যেন তার সঙ্গে বিশেষ কিছুটা সময় কাটাই। তাই হয়তো বিকালে আজ আরনাজের সঙ্গে কেক কাটা হবে। এটাই হবে জন্মদিনের বিশেষ ভাললাগার মুহূর্ত।

শবনমকে প্রায় ১৬ বছরেরও বেশি সময় ধরে নতুন কোন চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে দেখা যাচ্ছে না। সর্বশেষ তিনি ১৯৯৮ সালে কাজী হায়াত পরিচালিত ‘আম্মাজান’ চলচ্চিত্রে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি। এরপর আর কোন মৌলিক গল্প তাকে আকর্ষণ করেনি বলে তিনি নতুন কোন চলচ্চিত্রে অভিনয় করেননি।


এদিকে শবনম সম্প্রতি বাংলাদেশ বিনোদন সাংবাদিক সমিতি (বাবিসাস) কর্তৃক আজীবন সম্মাননা লাভ করেছেন। ১৯৬২ সালে এহতেশাম পরিচালিত ‘চান্দা’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শবনম সর্বপ্রথম পার্শ্বচরিত্রে অভিনয়ের জন্য পাকিস্তানের চলচ্চিত্রের সর্বোচ্চ সম্মাননা ‘নিগার অ্যাওয়ার্ড’ লাভ করেন। তবে ১৯৬৩ সালে একজন নায়িকা হিসেবে তিনি সর্বপ্রথম এ অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন মোস্তাফিজ পরিচালিত ‘তালাশ ছবিতে অভিনয় করে। এ ছবিতে তার বিপরীতে অভিনয় করেন নায়ক রহমান। এরপর ১৯৭১ সালে ‘দোস্তী’, ১৯৭৩ সালে ‘আনমোল’ , ১৯৭৪ সালে ‘দিল লাগি’, ১৯৭৫ সালে ‘জিনাত’, ১৯৭৭ সালে ‘আয়না’, ১৯৭৯ সালে ‘পাকিজা’, ১৯৮০ সালে ‘হামদোনো’, ১৯৮১ সালে ‘কোরবানী’, ১৯৮৩ সালে ‘কাবি আল বিদা না কেহনা’ ও ১৯৮৫ সালে ‘নারাজ’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য এ সম্মাননা লাভ করেন তিনি।

দেশীয় চলচ্চিত্রের জীবন্ত এই কিংবদন্তি অভিনেত্রীকে “আমার বিনোদন” পরিবারের পক্ষ থেকে জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা।

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন