, , No Comments

অভিনয় থেকে বিদায় নিচ্ছেন ববিতা

Logoআপডেট: বুধবার, ২৩ জুলাই, ২০১৪
এবি প্রতিবেদক
অভিনয় জগৎ থেকে বিদায় নিতে যাচ্ছেন ৭০ ও ৮০-র দশকের পর্দা কাঁপানো অভিনেত্রী ববিতা।
বর্তমানে চলচ্চিত্রের মানহীনতার কারণেই বাধ্য হয়ে তাকে এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে বলে জানান জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী।
 
ববিতা আরও জানান, এবার পবিত্র হজ পালনে যাবেন তিনি। আমেরিকা ও কানাডা সফর শেষে দেড় মাস পর রবিবার দেশে ফেরেন অভিনেত্রী ববিতা। আমেরিকায় প্রবাসী ভাইয়ের কাছে এক মাস ও কানাডায় একমাত্র পুত্র অনিক ইসলামের কাছে ১৫ দিন ছিলেন তিনি। অনিক কানাডায় ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশোনা করছেন।

আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন এ অভিনেত্রী বলেন, আগস্টে বড় বোন সুচন্দাকে নিয়ে হজ পালনে যাব। ববিতা আরও বলেন, বর্তমানে আর কোনো চলচ্চিত্রে অভিনয় করব না। কারণ, এখন যে ধরনের গল্প এবং ডিজিটাল চলচ্চিত্রের নামে যেসব দুর্বল চলচ্চিত্র নির্মাণ হচ্ছে তাতে অভিনয় করে অর্জিত সুনাম নষ্ট করতে চাই না। এ কারণেই সাম্প্রতিক সময়ে যেসব চলচ্চিত্রে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলাম বিদেশ যাওয়ার আগে সেগুলোর সাইনিং মানি ফেরত দিয়েছি। তবে চলচ্চিত্র থেকে একবারে অবসর নিচ্ছি না। মানসম্মত চলচ্চিত্র নির্মাণ হলে এবং এর গল্প ও চরিত্র পছন্দ হলে আবারও চলচ্চিত্রে অভিনয় করব। বড় বোন সুচন্দার স্বামী জহির রায়হানের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিনয়ে আসা ববিতা ১৯৭৩ সালে কলকাতার প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা সত্যজিৎ রায়ের 'অশনি সংকেত' চলচ্চিত্রে অনঙ্গ বউ চরিত্রে অসাধারণ অভিনয় করে আন্তর্জাতিক অভিনেত্রীর খেতাব পান। পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও লাভ করেন।

অভিনয়ের পাশাপাশি চলচ্চিত্র প্রযোজনাও করেন ববিতা। তার প্রযোজিত চলচ্চিত্র প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক সেলিনা হোসেনের রচনায় 'পোকা মাকড়ের ঘর বসতি' জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করে। ববিতা প্রযোজিত পাকিস্তান ও নেপালের সঙ্গে যৌথ চলচ্চিত্র 'লেডি স্মাগলার' বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়। এ ছাড়া ববিতার প্রযোজনায় ফুলশয্যা, লটারি, আগমন চলচ্চিত্রগুলো দর্শকনন্দিত হয়। প্রায় ২৫০-এরও বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন তিনি। 

তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- সংসার, শেষ পর্যন্ত , অরুণোদয়ের অগ্নিসাক্ষী, আলোর মিছিল, বাঁদী থেকে বেগম, ডুমুরের ফুল, বসুন্ধরা, গোলাপী এখন ট্রেনে, নয়নমনি, সুন্দরী, অনন্ত প্রেম,এক মুঠো ভাত, আকাঙ্খা, মা, ফকির মজনু শাহ, দিপু নাম্বার টু, চন্ডীদাস ও রজকিনী, নাগ পূর্ণিমা,  তিনকন্যা, লটারী,  জীবন সংসার, লাইলি মজনু,সাক্ষী ও  প্রতিজ্ঞা। সমাজসেবামূলক কাজের সঙ্গেও অভিনয় জীবনের শুরু থেকে নিজেকে জড়িত রেখেছেন ববিতা। দুস্থ নারী ও শিশুদের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। 

২০১১ সালে যুক্তরাষ্ট্র তাকে ডিসট্রেস চিলড্রেন অ্যান্ড ইনফান্টস ইন্টারন্যাশনালের গুড উইল অ্যাম্বাসেডর নিযুক্ত করে। অ্যাম্বাসেডর হিসেবে ববিতা এখন বিশ্বব্যপী সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন।

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন