, , No Comments

ক্ষমা চাইলেন সালমান!

Logoআপডেট: সোমবার, ২৭ জুলাই, ২০১৫
এবি ডেস্ক
দিনভর নাটক শেষে ১৯৯৩ সালে মুম্বাইয়ে সিরিজ বোমা হামলার প্রধান সন্দেহভাজনদের একজন ইয়াকুব মেমনের ফাঁসির রায়ের ব্যাপারে বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইলেন বলিউড অভিনেতা সালমান খান।

রবিবার সকালে ট্যুইট করে ইয়াকুব মেমনের ফাঁসির বিরোধিতা করেছিলেন তিনি। তারপরই শুরু হয় সমালোচনার ঝড়। অবশেষে এদিনই সন্ধ্যায় ট্যুইট করে ক্ষমা চাইলেন সাল্লু ভাই। তুলে নিলেন বিতর্কিত সেইসব ট্যুইট।


ট্যুইট করে সালমান জানালেন, ‘আমার বক্তব্যকে ভুল বোঝার জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী। আমি ইচ্ছাকৃতভাবে কোনও খারাপ পরিস্থিতি তৈরি করতে চাইনি।’ পাশাপাশি আরও জানিয়েছেন, তাঁর বাবা অর্থাৎ সেলিম খান তাঁকে ট্যুইটগুলি তুলে নিতে বলায় সেগুলি তুলে নিয়েছেন তিনি। তবে নিজের বক্তব্যে তিনি অনড় রয়েছেন বলেও জানিয়ে দিয়েছেন সালমান। কারণ, তাঁর মতে ইয়াকুব নির্দোষ নয় তবে ফাঁসি হওয়া উচিৎ ইয়াকুবের বড় ভাই টাইগারের। এদিন, সকালে তিনি ইয়াকুবের ফাঁসির বিরোধিতা করার পরই বিতর্ক তৈরি হয় বিভিন্ন মহলে। তাঁর বাড়ির সামনে বাড়ানো হয় নিরাপত্তা। বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি সমর্থকরাও। এই মন্তব্যকে আপত্তিকর বলে অভিযোগ করে বিশেষ সরকারি আইনজীবী উজ্জ্বল নিকম বলেছেন, ‘সালমানের উচিৎ অবিলম্বে তাঁর মন্তব্য ফিরিয়ে নেওয়া। তার মন্তব্যের ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমেছিলেন তাঁর বাবা সেলিম খানও। বিতর্কিত এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় সালমানের ওপর জনরোষ বা হামলার আশঙ্কায় তাঁর বাড়ির সামনে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা কায়েম করেছে মুম্বাই পুলিশ।

ইয়াকুব মেমনকে নয়, ফাঁসি দেওয়া উচিত তার ভাই টাইগারকে। ইয়াকুব নির্দোষ। টুইটে সল্লুভাইয়ের এই বিস্ফোরক মন্তব্যের পরই, এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে বিভিন্ন মহলে। সালমানের মন্তব্যের চরম বিরোধিতা করে বিশেষ সরকারি আইনজীবী উজ্জ্বল নিকম বলেছেন, ‘বিচারবিভাগের ভাবমূর্তিকে খর্ব করার চেষ্টা করছেন সালমান। ১৯৯৩ সালের মুম্বাই বিস্ফোরণ মামলায় সরকারি আইনজীবী হিসেবে বিশেষ টাডা আদালতে ইয়াকুব মেমনের ফাঁসির আর্জি জানিয়েছিলেন উজ্জ্বল নিকম।’


বিভিন্ন মহলে ছেলের অস্বস্তি কাটাতে ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা করেন সল্লুর বাবা সেলিম খান। তিনি বলেন, ‘সালমান যা লিখেছেন তা হাস্যকর, তার কোনও অর্থ নেই। এ বিষয়ে সালমান কিছুই জানেন না। তাই, ওঁর মন্তব্যকে কেউ যেন গুরুত্ব না দেন।’ মুম্বাই পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, অনেকেই সালমানের টুইটের বিরোধিতা করেছেন। তাঁরা সালমানের বিরুদ্ধে হিংসাত্মক প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারেন এই আশঙ্কায় আগেভাগেই তাঁর বাড়ির সামনে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মুম্বাই পুলিশের এক অফিসার জানিয়েছেন, সালমানকেও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। যদিও, এ প্রসঙ্গে টাডা আদালতের বিচারক পি ডি কোড়েকে পাশে পেয়েছেন বলিউডের এই মেগাস্টার। বিচারক কোড়ের মতে, ‘বাক-স্বাধীনতার অধিকার বলে প্রত্যেকের নিজের মতামত দেওয়ার অধিকার রয়েছে। কিন্তু মন্তব্যটি কতটা সময়োপযোগী সেটাই প্রশ্ন।’

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন