মুক্তির আগেই জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেল কুসুমের ‘শঙ্খচিল’
আপডেট:
মঙ্গলবার, ২৯ মার্চ, ২০১৬
এবি ডেস্কগতকাল
সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় ভারতের ৬৩তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ঘোষণা করা
হয়েছে। আর এতে সেরা বাংলা ছবি হিসেবে পুরস্কার পেল বাংলাদেশ-ভারত যৌথ
প্রযোজনার ছবি ‘শঙ্খচিল’।
বাংলাদেশের কুসুম শিকাদার ও কলকাতার জনপ্রিয় নায়ক প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জি
অভিনীত এ ছবিটি পরিচালনা করেছেন কলকাতার গৌতম ঘোষ। এতে বাংলাদেশ ও
পশ্চিমবঙ্গ থেকে আরও যেসব শিল্পী আছেন- মামুনুর রশীদ, শাহেদ আলী, রিয়াজ
মাহমুদ জুয়েল, অরিন্দম শীল, ঊষসী চক্রবর্তী, শিশুশিল্পী সাঁজবাতি, অনুম
রহমান খান, দীপংকর দে, প্রিয়াংশু চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ।
ছবিটি যৌথভাবে প্রযোজনা করেছেন হাবিবুর রহমান খান, ফরিদুর রেজা সাগর,
প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জি ও মৌ রায়চৌধুরী। ছবিটি জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার পর
নিজের অনুভূতি জানিয়ে ছবির প্রযোজক হাবিবুর রহমান খান বলেন, “আমি যখন
চলচ্চিত্র প্রযোজনা করি, তখন পুরস্কারের কথা চিন্তা করি না। তবে পুরস্কার
পেলে আনন্দ দ্বিগুণ হয়। ‘শঙ্খচিল’ পুরস্কার পাওয়ায় ভালো লাগছে। আশা করছি,
ছবিটি দর্শকের ভালো লাগবে।”
১৯৪৭ সালের দেশভাগ, স্বজন হারানোর যন্ত্রণা, দেশান্তর- এগুলো
‘শঙ্খচিল’ ছবির বিষয়বস্তু। এর শ্যুটিং হয়েছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তসংলগ্ন
পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার টাকি ও বাংলাদেশের কয়েকটি স্থানে।
ছবিটির প্রযোজনা করেছে ইমপ্রেস টেলিফিল্ম ও আশীর্বাদ চলচ্চিত্র। বাংলাদেশ ও
ভারত দুই দেশে ‘শঙ্খচিল’ মুক্তি পাবে আগামী ১৫ এপ্রিল। গত বছরের
ডিসেম্বরেই ছবিটি ভারতের সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পায়। ভারতে কোনো ছবি
ছাড়পত্র পাওয়ার পর জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য বিচারকম-লী সেই ছবিকে
প্রতিযোগিতায় স্থান দিতে পারেন। মুক্তির আগেই জাতীয় পুরস্কার পাওয়ায় ছবিটির
সাফল্য নিয়ে আশাবাদী সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে ভারতের এ জাতীয় পুরস্কারে সেরা অভিনেতা হয়েছেন অমিতাভ বচ্চন
(পিকু)। ‘তনু ওয়েডস মনু রিটার্নস’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য সেরা অভিনেত্রী
হয়েছেন কঙ্গনা রনৌত। সেরা চলচ্চিত্রের পুরস্কার পেয়েছে ‘বাহুবলী’।
চলুন দেখে নেওয়া যাক ভারতের ৬৩তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে সেরা হলেন কারা। উল্লেখযোগ্য ক্যাটাগরি তুলে ধরা হলো-
অভিনেতা - অমিতাভ বচ্চন (পিকু)
অভিনেত্রী - কঙ্গনা রানৌত (তনু ওয়েডস মনু রিটার্নস)
ছবি - বাহুবলী
বাংলা ছবি - শঙ্খচিল
সামাজিক ছবি - অটো ড্রাইভার
পরিবেশ বিষয়ে ছবি- ভালিয়া চিরাকুল্লা পক্ষীকাল
পরিচালক - সঞ্জয় লীলা বানসালি (বাজিরাও মাস্তানি)
হিন্দি ছবি - দম লাগাকে হাইসা
পার্শ্ব অভিনেত্রী -তানভি আজমি (বাজিরাও মাস্তানি)
পার্শ্ব অভিনেতা - সামুথিরাকানি (বারাণসি)
গায়িকা - মোনালি ঠাকুর (মোহ মোহ কে ধাগে)
গায়ক - মহেশ কালে
সংগীত পরিচালক - এম জয়াচন্দ্রন
জনপ্রিয় ছবি - বজরাঙ্গি ভাইজান
কোরিওগ্রাফার- রেমো ডি'সুজা (এবিসিডি-টু)
সেরা ছবি (শিশু বিভাগ) - দুরন্ত
সেরা স্পেশাল এফেক্টস - বাহুবলী
সমালোচক পুরস্কার - কালকি কোয়েচলিন (মার্গারিটা উইথ অ্যা স্ট্র)
সেরা সম্পাদনা: কিশোর টি-ই (ভিসারানি)
চিত্রনাট্য: জুহি চতুর্বেদি (পিকু) ও হিমাংশু শর্মা (তনু ওয়েডস মনু রিটার্নস)
সেরা সংলাপ: জুহি চতুর্বেদি (পিকু) ও হিমাংশু শর্মা (তনু ওয়েডস মনু রিটার্নস)
সেরা চিত্রগ্রহণ: সুদীপ চট্টোপাধ্যায় (বাজিরাও মস্তানি)
সেরা পোশাক পরিকল্পনা ও মেকআপ আর্টিস্ট: নানক শাহ ফকির
স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র (ফিকশন)- ঔষাধ (মারাঠি)
নার্গিস দত্ত পুরস্কার - নানক শাহ ফকির