“রানা প্লাজা” চলচ্চিত্রে নিষেধাজ্ঞা!

আপডেট:
সোমবার, ২৪ আগস্ট, ২০১৫
এবি প্রতিবেদকনানা জটিলতার কারণে দীর্ঘদিন ধরে সেন্সর বোর্ডে আটকে ছিল ঢালিউড অভিনেত্রী পরীমনির প্রথম চলচ্চিত্র রানা প্লাজা।
বহুল আলোচিত এ সিনেমাটির বিভিন্ন দৃশ্য, রানা প্লাজা ধ্বসের দৃশ্য
প্রভৃতি নিয়ে আপত্তি তোলে সেন্সর বোর্ড। এরপর সিনেমাটির সেন্সর ছাড়পত্র
পাওয়ার বিষয়টি গড়ায় আদালত পর্যন্ত।
অবশেষে সকল জটিলতা কাটিয়ে গত ১১ জুন সিনেমাটিকে ছাড়পত্র দেয় বাংলাদেশ
চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড। এরই মধ্যে সিনেমাটির মুক্তির তারিখ ঠিক হয় ৪
সেপ্টম্বর। তবে হঠাৎ করেই আবারো বাঁধার মুখে পড়েছে রানা প্লাজা। ২৪ আগস্ট
সোমবার সিনেমাটির উপর ছয় মাসের নিষেধাজ্ঞা দেন উচ্চ আদালত। সোমবার একটি রিট
আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি মোস্তফা
জামান ইসলামের বেঞ্চ এই আদেশ দেন। রিট আবেদনকারীর আইনজীবী ব্যারিস্টার মো.
মোহাম্মদ মেহেদী হাসান চৌধুরী জানান, এ আদেশের ফলে আগামী ৪ সেপ্টেম্বর
মুক্তির অপেক্ষায় থাকা সিনেমাটি প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শন বা কোনো মাধ্যমে
সম্প্রচার বা প্রচার করা যাবে না।
সাভারের ‘রানা প্লাজা’ ধসের ১৭ দিন পর ধ্বংসস্তূপ থেকে
পোশাককর্মী রেশমাকে উদ্ধারের ঘটনা নিয়ে নির্মিত এ সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন
নজরুল ইসলাম খান। এতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেন সাইমন-পরীমনি। শামীম
আক্তার প্রযোজিত সিনেমাটির দৈর্ঘ্য ২ ঘণ্টা ১৭ মিনিট ১৬ সেকেন্ড।
নিষেধাজ্ঞা জারির পর এ প্রসঙ্গে সিনেমাটির পরিচালক নজরুল ইসলাম খান
বলেন, ‘আমি মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পেরেছি, আদালত রানা প্লাজার প্রদর্শনের
উপর ছয় মাসের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। তবে যেহেতু এ নিয়ে আপিল করার
সুযোগ রয়েছে তাই আমিও আদালতের দারস্থ হব।
এ নিয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে তারপর সিদ্ধান্ত নিব।’ তিনি আরো বলেন,
‘এখনো পুরো ঘটনা জানতে পারিনি। কে বা কারা এটা করেছেন সে বিষয়েও আমি কিছু
জানি না। এর আগে অবশ্য সিনেমাটি মুক্তির জন্য হাইকোর্টই নির্দেশ দিয়েছিলেন।
কিন্তু এখন কেন আবার নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন তা বুঝতে পারছি না।’ নজরুলের
দাবী ‘আমি ভালো কিছু করতে চেয়েছি। জনসচেতনতার লক্ষ্যে আমার এ সিনেমাটি
নির্মাণ করা। তবে যেহেতু হাইকোর্ট নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন তাই এ বিষয় আর কিছু
বলতে চাই না।’ সিনেমাটির গল্পে দেখা যাবে, গ্রামের এক দরিদ্র পরিবারের মেয়ে
রেশমাকে ভালোবাসে তার প্রতিবেশী টিটু। কিন্তু টিটু তাদের চেয়ে অবস্থাপন্ন
বলে তার প্রস্তাবে সায় দেয় না রেশমা। টিটুও হাল ছাড়ার পাত্র নয়। এক
দুর্ঘটনা থেকে টিটু রেশমাকে উদ্ধার করে। এরপর টিটুকে পছন্দ করতে শুরু করেন
রেশমা। সায় দেন তার প্রস্তাবে। এর কিছুদিন পর বিয়ে করে টিটু ও রেশমা। তারা
ঢাকায় চলে আসেন। তখন এক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলে টিটু।
পরিবারের দায়িত্ব মাথায় তুলে নিয়ে রেশমা যোগ দেয় এক গার্মেন্টসে। এ নিয়ে
নানা জটিলতা তৈরি হয়। এক পর্যায়ে ঘটে রানা প্লাজার দুর্ঘটনা।
পরীমনি-সাইমন ছাড়াও এতে অভিনয় করছেন আবুল হায়াত, মিজু আহমেদ, কাবিলা,
হাবিব খান, শিরিন আলম প্রমুখ। এর কাহিনি-সংলাপ লিখেছেন মুজতবা সউদ।
চিত্রগ্রহণে এ এইচ স্বপন। সংগীতায়োজন করছেন আলী ইকরাম শুভ। শিল্প
নির্দেশনায় কলন্তর, ব্যবস্থাপনায় মান্নান।