গলা ফাটিয়ে কাঁদলেই মিলবে পুরস্কার!
এবি প্রতিবেদক
যে
সবছেয়ে বেশি গলা ফাটিয়ে কাঁদতে পারবে সেই জয়ী হবে। আর এই জন্য পাবে
পুরস্কার। বাচ্চাদের কান্নার এমন লড়াইয়ে অংশ নিয়েছে ৬-১৮ মাস বয়সী শতাধিক
শিশু।
এই ‘কান্না উৎসবে’ সন্তানকে কাঁদাতে সাজিয়ে-গুজিয়ে নিয়ে গেলেন তদের
মা-বাবা। শুধু তাই নয়, শিশু সন্তান যত কাঁদছে মা-বাবার আনন্দ যেন তত বাড়ছে।
আসনে বসে উপভোগ করছেন তারা। এমন বিস্ময় ঘটনা ঘটল জাপানের রাজধানী
টোকিও-তে।
সকাল সকাল এই ‘কান্না উৎসবে’ সেজে উঠল টোকিও। কান্না দৌড়ে
সন্তানদের শামিল করার একটাই কারণ। জাপানের নিয়ম অনুযায়ী শিশু সন্তান যত
কাঁদবে তত নাকি তার শরীর ভালো হবে। শুধু তাই নয় বেশি কাঁদলে সন্তানের জীবন
হবে সুখের এমনই ধারণা জাপানিদের। আর সন্তানের সুস্বাস্থ্য আর সুখ কামনা তো
করেন সব মা-বাবাই।
তাই টোকিওবাসী শিশু সন্তানদের কোলে নিয় দল বেঁধে
হাজির হন এলাকারই একটি ফাঁকা মাঠে। লাইন দিয়ে মা-বাবা কোলে রয়েছে ৬ থেকে ১৮
মাসের ফুটফুটে শিশুরা। তাদের সাজানো হয়েছে একেবারে রাজবেশে।
প্রত্যেক শিশুর নাম লেখানো ছিল আগে থেকেই। একে এক নাম ধরে ডাকা হল
শিশুদের। কিন্তু তাদের কাঁদাবে কে? মঞ্চে দাঁড়িয়ে আছেন সারি দিয়ে সুমোর দল।
এক এক নিজেদের সন্তানকে সুমোদের হাতে তুলে দিলেন অভিভাবকেরা। ছোট্ট
ক্ষুদেরা বৃহদাকার মানুষ দেখেই তো ঠোঁট ফোলাতে শুরু করেছে। আর যারা একটু
বিচ্চু, মানে সহজে কাঁদে না তারা হাত নেড়ে বার বার নাক-চোখে হাত দিচ্ছে
সুমোদের। আর হাঁসছে খিল খিল। নানা কায়দায় হাঁসিমুখো শিশুদেরও কাঁদাল
সুমোরা। যদিও তাদের কাঁদানোর জন্য একটু বেশি খাটতে হলো। যেমনই তাদের গলা
ছেড়ে কাঁদা তেমনই করতালির ঝড়। সন্তানের গলা চিরে কান্নায় ব্যাপক মজা লুটলেন
মা-বাবারা।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন