জাপান বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধুরাষ্ট্র : সংস্কৃতিমন্ত্রী
এবি প্রতিবেদক
সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এর সাথে সচিবালয়স্থ তাঁর কার্যালয়ে বাংলাদেশে নবনিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত মাসাতে ওয়াটানাবি সৌজন্য সাক্ষাত করেছেন।
এতে সংস্কৃতিসহ দু’দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করা হয়। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব আক্তারী মমতাজ, অতিরিক্ত সচিব মোঃ মশিউর রহমান, মাহবুবা মশকুর ও জাপান দূতাবাসের প্রথম সচিব রুমী আরিওশি এসময় উপস্থিত ছিলেন।
নবনিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে সাক্ষাতে সংস্কৃতিমন্ত্রী বলেন, জাপান বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধুরাষ্ট্র। সুদীর্ঘসময় ধরে ব্যবসা-বাণিজ্য, সংস্কৃতি, শিক্ষা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, অবকাঠামোসহ বিভিন্ন বিষয়ে দু’দেশ একে অপরের সাথে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। পারস্পরিক সহযোগিতার এ ক্ষেত্র আগামীতে আরও বিস্তৃত হবে বলে তিনি আশা পোষণ করেন।
বাংলাদেশ ও জাপানের সংস্কৃতি প্রায় সমরূপ উল্লেখ করে আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ১৯৮২ সাল থেকে জাপানের সাথে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক চুক্তি রয়েছে। এ চুক্তির আলোকে ২০০৫ সাল থেকে দেশ দু’টি দীর্ঘমেয়াদী সাংস্কৃতিক বিনিময় কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিবছর বিভিন্ন সাংস্কৃতিক বিনিময় কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে। তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- ঢাকায় অনুষ্ঠিত এশীয় দ্বি-বার্ষিক চারুকলা প্রদর্শনীতে জাপানের অংশগ্রহণ ও জাপানে অনুষ্ঠিত সেতৌশি ইন্টারন্যাশনাল আর্ট ফেস্টিভ্যালে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ।
এ বছরের জানুয়ারীতে বাংলাদেশে জাপানের Kagawaya Prefecture এর শিল্পীদের অংশগ্রহণে যে অনুষ্ঠানমালা হওয়ার কথা ছিল তা অনিবার্য কারণে স্থগিত হওয়ায় পুনরায় তা আয়োজনে অচিরেই উদ্যোগ নেয়া হবে বলে মন্ত্রী জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশ প্রত্নসম্পদের এক উর্বরক্ষেত্র। কিন্তু পর্যাপ্ত দক্ষ জনবল, যন্ত্রপাতি, বিশেষজ্ঞ ও অর্থের অপ্রতুলতায় এসব প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনসমূহের খননকার্য ও রক্ষণাবেক্ষণ ব্যাহত হচ্ছে। এক্ষেত্রে তিনি জাপানের সহযোগিতা কামনা করেন।
বাংলাদেশ জাপানের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ মিত্র উল্লেখ করে জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, পারস্পরিক সহযোগিতা ও সমঝোতার ভিত্তিতে দু’দেশ আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রতি জাপানের সহযোগিতা অব্যাহত আছে। এদেশের প্রত্নসম্পদের খননকার্য, রক্ষণাবেক্ষণসহ এ সংক্রান্ত বিষয়ে যথাযথ প্রস্তাব পেলে তারা সহযোগিতা করতে প্রস্তুত বলে তিনি মন্ত্রীকে আশ্বস্থ করেনে।
জাইকা, জাপান স্ট্যাডি সেন্টারসহ বিভিন্ন জাপানি প্রতিষ্ঠান এদেশে কাজ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর ফলে বাংলাদেশের জনগণের সাথে জাপানের জনগণের ভ্রাতৃত্বের বন্ধন সূদৃঢ় হচ্ছে। সৌজন্য সাক্ষাতে তিনি এ বছরের নভেম্বর ও ডিসেম্বরে বাংলাদেশে অনুষ্ঠেয় জাপানি চলচ্চিত্র প্রদর্শনীসহ আয়োজিত অনুষ্ঠানমালায় মন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানান।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন