তসলিমা নাসরীনের দুঃখের দিন শেষ
এবি প্রতিবেদক
অবশেষে ভারতে থাকার অনুমতি পেলেন বাংলাদেশী বহুল আলোচিত-সমালোচিত নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরীন। ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে শনিবার দুপুরে দেখা করার পর তাকে ভারতে থাকার অনুমতি দেওয়া হয় বলে জানা গেছে।
অবশেষে ভারতে থাকার অনুমতি পেলেন বাংলাদেশী বহুল আলোচিত-সমালোচিত নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরীন। ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে শনিবার দুপুরে দেখা করার পর তাকে ভারতে থাকার অনুমতি দেওয়া হয় বলে জানা গেছে।
এর আগে তসলিমা নাসরীন ভারতে থাকার অনুমতি চাইলে তাকে দুই মাসের ভিসার
মেয়াদ বাড়ানো হয়। তার ভারতে থাকার ভিসার মেয়াদ শেষ হচ্ছে ১৬ আগস্ট। ভারতের
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে শনিবার দুপুরে আলোচনার এক পর্যায়ে তসলিমা নাসরীন
হিন্দিতে লেখা তার বই ‘উও আন্ধেরে দিন’ (আঁধার ঘেরা দুঃখের দিন) উপহার দেন। এ
সময় ভারতীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ তসলিমাকে আশ্বস্ত করে বলেন, ‘আপনার
আঁধারে ঘেরা দিন শেষ হয়ে যাবে।’ এরপরই তসলিমা নাসরীনের ভারতে থাকার অনুমতি
মিললো।
এদিকে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার পর মাইক্রোব্লগিং সামাজিক
সাইট টুইটারে তসলিমা নাসরীন এক টুইটার বার্তায় জানান, আমি মাননীয়
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে দেখা করেছি। এ সময় আমার লেখা বই ‘উও
আন্ধেরে দিন’ (আঁধার ঘেরা দুঃখের দিন) উপহার দিয়েছি। তিনি বলেন, ‘আপনার
আঁধারে ঘেরা দিন শেষ হয়ে যাবে।’
আগামী ১৬ আগস্ট তসলিমা নাসরীনের ভারতে থাকার ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। তাই তিনি ভারতে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য ভিসার মেয়াদ বাড়াতে দেন। কিন্তু ভারতীয় কর্তৃপক্ষ মাত্র দুইমাস ভিসার মেয়াদ বাড়ায়। এরপর তসলিমা নাসরীন এক প্রতিক্রিয়ায় হতাশা ব্যক্ত করে বলেন, এখন আমি কোথায় যাবো!
বাংলাদেশি লেখিকা তসলিমা নাসরীন এর পরিপ্রেক্ষিতেই শনিবার দুপুরে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে দেখা করেন। বাংলাদেশের আলোচিত এই লেখিকা ১৯৯৪ সাল থেকে পরবাসে রয়েছেন। তসলিমা নাসরীন অন্তত এক বছরের জন্য ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আবেদন করেছিলেন। অপরদিকে, এক বিবৃতিতে বিচারপতি কাতজু বলেন, সংবাদপত্র পড়ে তিনি জেনেছেন তসলিমা নাসরীনের ভিসা মাত্র দুই মাস বাড়ানো হয়েছে। তিনি বলেন, আমার মতে তাকে ভারতে বসবাসের স্থায়ী ব্যবস্থা করে দেওয়া উচিত।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন